Home গল্প পরিণয়

পরিণয়

পরিণয়

লেখকঃ সাঈদা নাঈম

“সাঈদা নাঈম” লেখকের অন্য লেখাগুলো পড়তে লিংকে ক্লিক করুন

তোমার সাথে দেখা হয়ে ছিল বইমেলার একটি প্যাভিলিয়নে। আনিসুল হকের একটি বই খুঁজছিলাম, তুমিও তাই। তখনই বই নিয়ে দুজনের সঙে আলাপ হলো। বিল কাউন্টারে বিল দিয়ে দুজন একই পথে মেলায় হাঁট ছিলাম। অথচ আমরা ছিলাম অপরিচিত! কথা হচ্ছিল সাবলীলভাবে। এক পর্যায়ে আমরা একে অপরের নাম জেনে নিলাম। আমার নাম শুনে তুমি বলেছিলে, বাহ্! বেলি! খুব সুন্দর নাম। জানালে, তোমার নাম ঐক্য।

পড়াশোনা শেষ করে একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে লেকচারার হিসেবে জয়েন করেছো। আমি জানালাম, আমি মাত্র একটি গার্লস কলেজে জয়েন করেছি। দুজনের প্রফেশন মিলে যাওয়াতে দুজনেই হাসলাম।

প্রকৃতি আর মন এ দুটোর মাঝে বেশ বন্ধুত্ব। এ দুয়ের মাঝে চলে সারাক্ষণ নানান রঙের খেলা।
এ খেলায় কে আহত হলো, কে খুশি হলো, আর কে ই বা নিহত হলো? এতকিছু নিয়ে ভাববার সময় তাদের নেই।

তারা বল্গাহীন, ছুটে বেড়ায় ঘুরে বেড়ায় আপন ভাবনায়। এতে কারো দোষ নেই। বেলি আর ঐক্য একটি কফি শপে বসে কফি খেয়ে আবার মেলায় হাঁটছে। হঠাৎ করেই যেন একজন অপরিচিত মানুষ পরিচিত হয়ে গেল। বিভিন্ন দোকানে যাচ্ছে, বই দেখছে। এভাবে প্রায় ঘন্টাখানেক পার হয়ে গেল। বেলি বলল,
আমি এবার যাবো। আপনি কি আরো কিছুক্ষণ থাকবেন?

না আমিও যাবো। আরেকদিন আসতে হবে, কিছু বই দরকার ছিল। মেলা থেকে ঘুরে বই কিনতে আমার ভালো লাগে। বলতে পারেন, আমি অপেক্ষা করি বই মেলার জন্য।
খুব ভালো শখ। আমি বের হচ্ছি। হয়তো কখনও দেখা হবে।
এ সময় ঐক্য বলল,
একটা কথা জানতে ইচ্ছে করছে। বলবো?
অবশ্যই, বলুন। কি জানতে চান?
আপনি গান করেন?
বেলি অবাক হয়ে জানতে চাইলো,
কেমন করে বুঝলেন?
তার মানে ঠিক। আমি না, যে কেউ দেখলেই বুঝবে আপনি গান করেন।
এটা কেমন কথা! আমি কি সারাক্ষণ গুনগুন করি নাকি যে সবাই বুঝবে!
না, মানে আপনার ব্যাক্তিত্বের সাথে গানের মেলবন্ধন আপনার কপালের টিপের মতো।
কিছু বুঝলাম না। আপনিও বের হলে চলুন। লম্বা লাইন দিয়ে বের হতে হবে। আপনার ভিজিটিং কার্ড থাকলে দিবেন। এ ধরুন আমারটা।

ঐক্য আনন্দে আত্মহারা। না চাইতে এতোকিছু! যাই হোক, ওর ভিজিটিং কার্ডটা বেলিকে দিলো। বেলির গাড়ি চারুকলার সামনে রাখা তাই ঐ পথে হাঁটছে। ঐক্যও হাঁটছে দেখে বলল,
আমার গাড়ি ঐ দিকে তাই যাচ্ছি। আপনি কোথায় যাচ্ছেন?
আমার গাড়িও ঐ দিকে। চারুকলার সামনে।
বেলি বলল, বাহ্! আপনার সাথে আমার অনেককিছু মিলে যাচ্ছে। তাই না?
হ্যাঁ। আবার কোনদিন মেলায় আসবেন?
তা তো জানি না। তবে আসবো। আমি আপনাকে ফোন করে জানাবো। সুযোগ হলে আপনিও চলে আসবেন। আজকের মতো ঘুরবো।
নিশ্চয়ই। জানাবেন। বাই।
বাই।

একে অপরের থেকে বিদায় নিয়ে বেলি গাড়িতে বসলো। জ্যাম ঠেলে ঠেলে ধীর গতিতে গাড়ি চলছে। ভাবনারাও এসে ভর করেছে। ক্লান্তিময় মুহূর্তে এরা বেশ ভর করতে পারে। ভাবছে ঐক্যের সাথে আজই প্রথম পরিচয়। ওকে এতো আপন মনে হলো কেন? আবারো ফোন করবে, দেখা করবে তাও বলল। লজ্জা পাচ্ছে ভেবে যে কি ভাববে ঐক্য।
অবশ্য সেই ভাবনার বয়স নেই, লোকে কি বলবে? যথেষ্ট বয়স হয়েছে। নিজেই সব সিদ্ধান্ত নিতে শিখেছে এবং পরিবারেও তেমন কোনো বাধকতা নেই। শীতল নিঃশ্বাসে সব ভাবনাদের ছুটি দিয়ে দিলো কারণ বাসার সামনেই গাড়ি। পরিতৃপ্ত স্থান থেকে নিজ গন্তব্যে চলে এসেছে। এখন আর কোনো ভাবনাকে প্রশ্রয় দিবে না। তবে বুঝতে পেরেছে, আজ একগুচ্ছ সোনালী বীজ রোপন করেছে।

ফেব্রুয়ারি মাস। সন্ধ্যা থেকেই কুয়াশার চাদর চারপাশে। শীত খুব পছন্দের ঋতু বেলির। রাতে বিছানায় শুয়ে ভিজিটিং কার্ডটা দেখলো। মোবেইলে নম্বরটি সেভ করে রাখলো। যদি কার্ডটি হারিয়ে যায় এই শংকায়। এরপর প্রতিদিনের মতো বই পড়তে থাকে। টিভিও চলতে থাকে। নিউজ দেখে, নাটক দেখে। একসময় দুচোখের পাতায় ঘুমের আমেজ নেমে আসে। তখন বইটি পাশে রেখেই ঘুমিয়ে যায়। মোবাইলের এলার্মে এসকেলেটার ঘুম ভাঙ্গে রোজ। মা আছেন, বাবা মারা গেছেন গত কয়েকবছর আগে। একটি মাত্র ভাই থাকে কানাডায় স্বস্ত্রীক। সকালেই ক্লাস থাকে, ওর মা চা নাস্তা টেবিলে দিতে দিতেই বেলি চলে আসে। টুকটাক কথা বলে। ওর মা ওকে বলে অন্য কোনো কলেজে জয়েন করতে। আগেও বলেছিল। এটি অনেক দূর হয়ে যায়। মায়ের মন সারাক্ষণ আবোলতাবোল ভাবতে থাকে। মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে। বলেই রেখেছে, কাউকে পছন্দ হলে জানাতে। জোর করে বা ওর বিরুদ্ধে ওর বিয়ে দিবে না। ওর বাবারও সেই ইচ্ছে ছিল।

বেলি বাইরে বের হতেই ফোন এলো। গতরাতে যেহেতু ঐক্যের নম্বর সেভ করেছে তাই স্ক্রীনে নামটা ভেসে উঠলো।
প্রফুল্ল মনে ফোনটা রিসিভ করে বলল,
কি ব্যাপার, এতো সকালে!
চিনতে পেরেছেন?
চিনতাম না যদি নম্বরটি গতরাতে সেভ না করতাম।
যাক ভালো হলো। কলেজে যাচ্ছেন?
হ্যাঁ। আপনি?
আমিও তাই। আচ্ছা কলেজ শেষে কি কাজ?
বেলি অবলীলায় বলল, কোনো কাজ নেই। কেন?
ভাবছিলাম মেলায় যাবো। যাবেন?
হ্যাঁ, যাওয়া যায়। তেমন কোনো কাজ নেই।
যাওয়া কনফার্ম করে ফোন কেটে দিলো।

হালকা শীতের আমেজ নিয়ে দুজনার আবার দেখা হলো বইমেলায়। আজ শুধু বই কিনেনি একে অপরকে বই উপহার দিয়েছে। দুইদিনের দেখা হওয়া অথচ মনে হচ্ছে কত চেনা, কত আপন। কাছের মানুষ বলেই মনে হচ্ছে। দুজনে কথাবার্তায় একেবারে সাবলীল। হয়তো এটি বয়সের কারণেই।একটি বয়সে এসে এ ধরনের জড়তা থাকে না। তাছাড়া বইমেলা জনসমাগম বেশি এখানে অন্য কোনো ভয়ের আশংকা নেই। বেলি খেয়াল করলো একটিবারের জন্যও ঐক্য ওর কাছাকাছি এসে দাঁড়ায়নি। দূরত্ব রেখে কথা বলছে।

আজ ঐক্য ওর পরিবারের কথা বলছে। মা, বাব, ছোট বোনের কথা বলছে। বেলি ওর নিজের কথা তেমন বলেনি। শুধু ঐক্য একবার জানতে চেয়েছিল, আপনার বাসায় কে কে আছেন?
বেলি বলেছিল, মা আর আমি, সাথে কাজ করার জন্য একজন খালা।
ঐক্যের যা জানার ছিল বুদ্ধি করে তা জেনে নিলো।
দুজনে হাঁটতে হাঁটতে আজও কয়েকটি বই কিনলো। এরপর কফি খেয়ে বিদায় নিলো।

চারপাঁচদিন পর, বেলির মোবাইলে রিং বেজে উঠলো। ঐক্যের ফোন। ফোনটা রিসিভ করে এক আরেকজনের কুশল বিনিময় করলো। বেলির অনুভব করছে ভোরের শিশির আজ রাঙিয়ে দিলো মনের আকাশ। তার মানে ও প্রত্যাশা করছিল ঐক্য ফোন করুক।

ঐক্য বিনয়ের সাথে বলল,
আজ কি আমার সাথে কিছুক্ষণের জন্য দেখা করতে পারবেন?
আজ? কলেজের পরে। এই বিকেলের দিকে।
অসুবিধা নেই। বইমেলায় চলে আসুন। দেখা হবে। রাখছি।
কল কেটে দিলো। আজ কেমন যেন অন্য সুরে কথা বলছিল ঐক্য। বেশি কথা বলেনি। বেলি এসব ভাবনাকে বিদায় দিয়ে কলেজের জন্য রেডি হলো। নাস্তা খেয়ে বের হয়ে গেল।
কলেজ শেষে ফোন দিলো ঐক্যকে। বলল মেলায় যাচ্ছে ওকেও আসতে।
ঐক্যও তাড়াতাড়ি বের হয়ে গেল। আজ ওর জন্য বিশেষ একটি দিন। অন্যরকম অনুভূতির দিন। যা এখনও বেলি জানে না।

দেখা হলো দুজনের। দুজনের হৃদয়ের অভ্যন্তরে অন্যরকম সুর। কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে বেলিও বুঝলো। কিন্ত কি? সেটি বুঝতে পারলো না। ঐক্য এরমধ্যে একটি খাম বেলির হাতে দিলো। মনে মনে বেলি অবাক হলো, এ যুগে প্রেমপত্র! কিছু বলল না এ নিয়ে। ঐক্য তখন বলল,
এই খামটি আপনার মাকে দিবেন। আমার মা দিয়েছেন।
বেলি আরও অবাক হলো! আমার মাকে আপনার মা এই খাম দিয়েছেন! কি এতে?
না, প্লিজ আপনি এখন খুলবেন না এটি। আপনার মাকেই দিবেন। উনি খুলবেন।
ঠিক আছে। মেলায় ঘুরবেন? নাকি বসবেন কোথাও?
না, আজ আর বসবো না। চলে যাবো, কিছু কাজ আছে।
ঠিক আছে, যান। আমি কিছুক্ষণ থাকবো।
একা ঘুরবেন?
না, আমার কয়েকজন বান্ধবী আসবে। ওদের আজ আসার কথা আছে। আপনি বলাতে তাইতো চলে আসতে পারলাম।
ঠিক আছে। বলে, হাসিমুখে ঐক্য বিদায় নিলো।
ভাবনার আবেশ কিছুক্ষণ বেলির মধ্যে ছিল। বান্ধবীদের দেখে সেটি উবে গেল।

বাসায় ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। ফিরে এসে হাতমুখ ধুয়ে মায়ের সঙে বসে চা নাস্তা খেল। প্রতিদিনের রুটিন। হঠাৎ খামের কথা মনে হওয়াতে ওর মাকে সব কথা বলল। ঐক্যের সাথে কখন, কোথায় কিভাবে পরিচয় হয়েছিল। আর আজ খামের কথা বলে, রুম থেকে খামটি এনে দিলো। বেলি আসলেই খুলেনি।
ওর মা খামটি খুললেন। ভিতরে একটি বায়োডাটা ও দুইটি ছবি পেলো। ওর মা বললেন, দেখ তো এটাই কি ঐক্য?
বেলি ছবি দেখে বলল, হ্যাঁ। কিন্তু ছবি আর বায়োডাটা কেন?
মোবাইল নম্বর দিয়েছে ওর মা। ফোন করতে বলেছেন। মনে হয় কোনো সুসংবাদ রে বেলি।
ফোন করে দেখো। পরে বলো কি সংবাদ।
ওর মা ফোন করলো। পরিচয় দিয়ে কথা শুরু করলো। বেলির মা বললেন আমি আসলে বুঝতে পারছি না কি দিয়ে শুরু করবো?
ঐক্যের মা বললেন, আপনাকে কিছু বলতে হবে না। আমিই বলছি। বেলিকে আমার ছেলে খুব পছন্দ করেছে। আমরা ওর বিয়ের জন্য মেয়ে দেখছিলাম। এরমধ্যে গতকাল বেলির কথা বলল। ছেলের পছন্দ মানে আমাদেরও পছন্দ। আপনার পছন্দ অপছন্দের বিষয়তো রয়েছে। তাই ছেলের পুরো পরিচয় আর ছবি আপনার জন্য পাঠিয়েছি। আপনার পছন্দ হলে আমরা এ সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আকদ করাবো।
কি বলছেনছ! এতো খুশির খবর। আমি ছবি দেখেছি। বায়োডাটাও দেখেছি। আপত্তি করার মতো কিছু নেই। তবুও বেলির মতামতটা জেনে জানাই। একটু পর আপনি যদি ফোন করেন।
অবশ্যই। ওর মতামতটাও জানা দরকার। আমি একটু পর ফোন করছি। আপনি কথা বলেন।

বেলির মা ফোন রেখে দিয়ে বেলিকে বলল,
কিরে? তোর বিয়ের প্রস্তাব তুই নিজেই নিয়ে এলি?
কি বলো মা? আবোলতাবোল।
না, আবোলতাবোল না। ঐক্যের মা বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। তোর মতামত না নিয়ে তো আমি হ্যাঁ বলতে পারি না। যা বলবি ভেবে বলবি। তোরও বিয়ের বয়স হয়েছে। ঐক্যকে তোর পছন্দ? আমি কি হ্যাঁ বলবো?
থামো থামো। এতো তাড়াহুড়া করো না। আমাকে ভাবতে দাও। আমার ই হাতে আমার বিয়ের প্রস্তাব। কত চালাক দেখেছো মা? আমি এই চালাকের সাথে টিকতে পারবো?
চালাক না। বল, ভদ্র ও পারিবারিক শিক্ষা। তুই ভালো মানিয়ে চলতে পারবি। তাছাড়া বিয়ে তো বিশ্বাসের উপরেই হয়। মানুষ চেনা যায় একসঙ্গে থাকলে। তাহলে কি বলবো? হ্যাঁ বলবো? নাকি তোর অন্য কোনো পছন্দ আছে, যার জন্য অপেক্ষা করছিস।
তোমার পছন্দ হলে হ্যাঁ বলো।আমার কেউ নেই মা। আমার ভূবন জুড়ে শুধু তুমি।

তখনই ফোনটা এলো। বেলির মা জানালেন, বেলির অমত নেই। ঐক্যের মা কথাটা শুনে বললেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমরা কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার বাসায় আসছি।

পরেরদিন সকালে ঐক্য ফোন করলো। বেলি অভিমানী সুরে বলল, আপনি তো মহা চালাক!
এখানে চালাকীর কি হলো? পারিবারিক সম্মতি না পেলে সারাজীবন কষ্ট করতে হতো। তার চেয়ে এটা কি ভালো নয়?
আপনি নিজেও তো কাল বলতে পারতেন।
তা পারতাম, কিন্তু এতোটা নার্ভাস লাগছিল যে বলতে পারিনি।
এখন বলেন তাহলে। এটলিস্ট প্রপোজ তো করবেন।
তার আগে তুমি আমাকে তুমি করে বলতে হবে।
আরে! এমনি এমনি তুমি বলা যায় নাকি? কথাপ্রসঙ্গে বলবো। আপনারটা আগে বলেন।
হৃদয়ের ফ্রেমে সারাজীবন তোমাকে রাখতে চাই। তুমি কি থাকবে সেই ফ্রেমে?

বেলিও বলল, তোমার মতো এমন করে বললে তাকে কি ফিরিয়ে দেয়া যায়? তবে আর যা ই বলো। তোমার বুদ্ধিটা দারুন।
হ্যাঁ, অনেক ভেবে বের করেছি। আর কত কি ভেবেছি। তুমি যদি না করো!
এখন কি ভাবছো?
এখন ভাবছি, অগণিত তারার মাঝে আমার শুকতারা তুমি। শীতের সকালের গরম চা তুমি, বর্ষা দিনের বাদল তুমি।
থামো, থামো। সাহিত্যিক হয়ে গেলে তো!
তাইতো। তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখতে পারবো। লিখবো?
তার দরকার নেই মশায়। এই ঢের।
শোনো আমাদের বিয়ের পরও আমরা ভালো বন্ধু হয়ে থাকবো। আমাদের কোনো অতীত থাকবে না, বর্তমান আর ভবিষ্যত নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।
তুমি যদি পাশে থাকো নিশ্চয়ই ভবিষ্যত ভালো হবে। আমরা সে চেষ্টা করবো। একে অপরকে বুঝবো, সহযোগিতা করবো। কি? পারবে তো?
মনে হচ্ছে পারবো।

এই বলে দুজনেই হাসতে হাসতে ফোন রেখে দিলো। তবে বিকেলে দেখা হবে সেটি নিশ্চিত করলো। বেলির কোনো গোপন ইচ্ছে ছিল না বলেই ঐক্যের সাথে স্বাভাবিক। জীবন যাপনে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। জীবনের যত ছন্দপতন হয় গোপন ইচ্ছে, না পাওয়ার আকাঙ্খা থেকে। বর্তমানের উৎসাহে ওরা টইটম্বুর।

Exit mobile version